Uncategorized

জলঢাকায় আগাম জাতের আলু চাষে ব্যস্ত কৃষকরা

  Admin1234@ ৪ নভেম্বর ২০২৫ , ৪:০৫:৫৯ 21

Oplus_0

মোঃরাজু মিয়া সোহাগ,
নীলফামারী জেলা প্রতিনিধিঃ
নীলফামারীর জলঢাকায় আগাম জাতের আলু চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা। আশ্বিন-কার্তিকের মঙ্গা তাড়াতে আগাম আউশ ধান ঘরে তুলে এখন সেই জমিতে আগাম আলু রোপণে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন তারা।
ভালো দামের আশায় উঁচু সমতল জমিতে ৫০-৬০ দিনে উৎপাদনযোগ্য সেভেন জাতের পাশাপাশি গ্র্যানুল্যা, সাকিতা, কারেজ ও জামপ্লাস জাতের আলু রোপণ করা হচ্ছে বলে জানান স্থানীয় কৃষকরা। মৌসুমের শুরুতে আগাম আলু উৎপাদন হলে লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা বেশি বলে আশা করছেন তারা।
কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, স্বল্পমেয়াদী আউশ ও আগাম আমন ধান কেটে মাড়াই শেষে জমি প্রস্তুতের পর কৃষকেরা হিমাগার থেকে বীজ সংগ্রহ করছেন। এরপর হালচাষ, আগাছা পরিষ্কার, সেচের জন্য ক্যানেল তৈরি ও জৈব সার প্রয়োগ করে আলু রোপণ শুরু হয়েছে।
আলু চাষি আব্দুল জব্বার বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে নতুন আলুর দাম কেজিতে ১০-২০ টাকা বেশি পাওয়া যায়। ঢাকার বাজার থেকে পাইকারী ব্যবসায়ীগণ আগাম বায়না দিয়ে আলু ক্রয় করেন এবং মাঠ থেকে আলু সংগ্রহ করেন নিয়ে যান।
আরেক চাষি মাজেদুল বলেন, আগাম জাতের আলু চাষে বাজারের চাহিদা ও দাম ঠিক থাকলে লোকসান হওয়ার আশঙ্কা কম। নারী-পুরুষ এবং শ্রমিক মিলে মাঠে আলু রোপণের কাজ চলছে। এতে শ্রমিকের চাহিদা ও মজুরি বৃদ্ধি পেয়েছে।
জলঢাকা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, চলতি মৌসুমে ২ হাজার ৯’শ ২২ হেক্টর জমিতে আগাম আলু চাষের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ পর্যন্ত ২৯০ হেক্টর জমিতে আলু রোপণ সম্পন্ন হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় কৃষকদের আলু চাষে উৎসাহ বাড়ছে। গত বছর ৩ হাজার ৭৫ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছিল।
এদিকে, চলতি মৌসুমে আগাম জাতের আলু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৭২ হাজার ৫০৬ মেট্রিক টন।

আরও খবর:

Sponsered content