আন্তর্জাতিক

মালয়েশিয়ার কলিং ভিসা নিয়ে বিভ্রান্তি দূর করতে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়

  Admin1234@ ১ নভেম্বর ২০২৫ , ৩:০৫:৪১ 91

মোঃ নুরুল ইসলাম সুজন, মালয়েশিয়া:

মালয়েশিয়ায় নবনিযুক্ত বাংলাদেশ হাই কমিশনার মঞ্জুরুল করিম খান চৌধুরী বলেছেন, মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর বিষয়টি এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। এ বিষয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করা হলে মালয়েশিয়া সরকারের কাছে জবাবদিহি করতে হয়, তাই সংবাদ প্রকাশের আগে যাচাই-বাছাই জরুরি।

বুধবার (২৯ অক্টোবর) বিকেলে কুয়ালালামপুরে বাংলাদেশ হাই কমিশনের হলরুমে প্রবাসী সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

হাই কমিশনার বলেন, “মালয়েশিয়ায় প্রায় ১৫ লাখ বাংলাদেশি প্রবাসী আছেন। সাংবাদিকরা প্রবাসীদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন করতে পারেন এবং তাদের সমস্যাগুলো তুলে ধরতে পারেন। এতে দূতাবাস ও প্রবাসীদের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি হয়। সমস্যা চিহ্নিত করে তার সমাধানের পথ দেখানোর চেষ্টা করা উচিত।”

প্রবাসী সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে সাধারণ প্রবাসীদের সঠিক তথ্য পৌঁছে দিতে হবে। অনেক সময় প্রবাসীরা মধ্যস্বত্বভোগীদের কথায় বিভ্রান্ত হন, এতে সমস্যার সৃষ্টি হয়।”

অনিয়মিত প্রবাসীদের বৈধতা প্রসঙ্গে হাই কমিশনার জানান, “মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার সফরের সময় মালয়েশিয়া সরকারের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে বৈধতা প্রদান সম্পূর্ণ মালয়েশিয়া সরকারের এখতিয়ার।”

সভায় ডেপুটি হাই কমিশনার মোসাম্মাত শাহানারা মনিকা ও দূতাবাসের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে সিন্ডিকেট ও অনিয়মের অভিযোগে ২০২৪ সালের জুন থেকে বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগ সীমিত রাখে মালয়েশিয়া সরকার। তবে চলতি অক্টোবর মাসে দেশটি নতুন করে কিছু যোগ্য এজেন্সিকে কলিং ভিসা প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়ার সুযোগ দেওয়ার ঘোষণা দেয়।

কলিং ভিসায় শ্রমিক পাঠাতে বাংলাদেশি রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর জন্য মালয়েশিয়া সরকার ১০টি শর্ত নির্ধারণ করেছে—

১. লাইসেন্সপ্রাপ্তির পর ন্যূনতম ৫ বছরের সফল কার্যক্রমের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
২. গত ৫ বছরে বিদেশে অন্তত ৩,০০০ কর্মী প্রেরণের প্রমাণ থাকতে হবে।
৩. কমপক্ষে ৩টি দেশে কর্মী প্রেরণের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
৪. প্রশিক্ষণ, মূল্যায়ন ও নিয়োগ সংক্রান্ত বৈধ সরকারি অনুমোদন থাকতে হবে।
৫. সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের Certificate of Good Conduct থাকতে হবে।
৬. মানবপাচার, জোরপূর্বক শ্রম, অর্থপাচার বা অনৈতিক কর্মকাণ্ডের কোনো রেকর্ড থাকা যাবে না।
৭. নিজস্ব প্রশিক্ষণ ও মূল্যায়ন কেন্দ্র থাকতে হবে, যেখানে আবাসন ও দিকনির্দেশনা সুবিধা থাকবে।
৮. অন্তত ৫ জন আন্তর্জাতিক নিয়োগকর্তার প্রশংসাপত্র থাকতে হবে।
৯. কমপক্ষে ১০,০০০ বর্গফুট আয়তনের একটি স্থায়ী অফিস থাকতে হবে।
১০. অতীতে আইনসিদ্ধভাবে বিদেশে কর্মী প্রেরণের প্রমাণ থাকতে হবে।

যেসব এজেন্সি এসব শর্ত পূরণ করবে, সরকার সেসব এজেন্সির তালিকা মালয়েশিয়া সরকারের কাছে পাঠাবে। এরপরই কলিং ভিসার কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে।

আরও খবর:

Sponsered content