Admin1234@ ২৯ অক্টোবর ২০২৫ , ৫:৪৫:১৭ 63

শিমুল পারভেজ,স্টাফ রিপোর্টার:-
বাংলাদেশের রেশম শিল্পের ঐতিহ্যবাহী অঞ্চল হিসেবে পরিচিত চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলায় রেশমচাষী বসনীদের মাঝে বিনামূল্যে রেশমপোকা বা পলুপোকার ডিম বিতরণ করেছে বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ডের ভোলাহাট জোনাল অফিস।
মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর ২০২৫) সকাল ৭টা ৩০ মিনিটে তেলিপাড়া গ্রামে অবস্থিত রেশম উন্নয়ন বোর্ডের টেকনিক্যাল অফিসারের কার্যালয়, ভোলাহাট মিনিফিলেচার ও গুটি ক্রয় কেন্দ্র থেকে রেশম উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ৬১ জন রেশমচাষী বসনীর হাতে অগ্রহায়ণী বন্দে পলুপালনের জন্য এফ-১ জাতের মোট ৬ হাজার পলুপোকার ডিম (বীজ) বিনামূল্যে তুলে দেওয়া হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন রেশম উন্নয়ন বোর্ডের টেকনিক্যাল অফিসার, মাঠকর্মী ও স্থানীয় রেশমচাষীরা। বিতরণ কার্যক্রম চলাকালে কর্মকর্তারা জানান, বাংলাদেশের রেশম শিল্প পুনরুজ্জীবিত করতে সরকার নানামুখী পদক্ষেপ নিচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে রেশম উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে নিয়মিতভাবে বসনীদের মাঝে প্রশিক্ষণ, বীজ বিতরণ, গুটি ক্রয় ও বিপণন কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।
অস্থায়ী কর্মচারী মনিরুল ইসলাম বলেন, “এ মৌসুমে তুলনামূলকভাবে কম বসনী ডিম সংগ্রহ করেছেন, কারণ অনেকেই তাদের তুঁত জমিতে মিষ্টি কুমড়া ও অন্যান্য সবজি চাষ করেছেন। ফলে সেই জমি থেকে তুঁতপাতা সংগ্রহ করা সম্ভব নয়, যা রেশমপোকা পালনের জন্য অপরিহার্য।”
বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ডের ভোলাহাট জোনাল অফিসের আওতায় বর্তমানে প্রায় ৩৭০ জন নিবন্ধিত সুফলভোগী বসনী রয়েছেন। অতীতে এ সংখ্যা ছিল প্রায় সাড়ে ১২ হাজার, যা থেকে বোঝা যায় একসময় ভোলাহাটে রেশমচাষ কতটা জনপ্রিয় ও লাভজনক ছিল। বর্তমানে ধীরে ধীরে পুনরায় রেশম শিল্পের প্রতি আগ্রহ বাড়ছে।
স্থানীয় রেশমচাষীরা জানান, সরকারি সহায়তা অব্যাহত থাকলে এবং তুঁতপাতার সরবরাহ নিশ্চিত করা গেলে ভোলাহাট আবারও দেশের “রেশমের রাজধানী” হিসেবে পুরনো ঐতিহ্য ফিরে পাবে।















